বাড়ির নামটি!

Spread the love

শহর। শহরের রাস্তা জুড়ে শুধু কালো মাথা চলছে। ব্যস্ততা। তুমুল ব্যস্ততা। Fraction of a second-এর জন্য দাঁড়িয়ে যদি, আকাশে মেঘ কতোটা ঘনালো দেখতে যায় ঘাড় উঁচিয়ে কেউ, তবে সবাই হুড়মুড়িয়ে পড়বে তাঁর ঘাড়ে। দুপুরের পা হেঁটে যায় ভোররাতে তোলা মিইয়ে আসা জবা ফুলের মালাটার পাশ দিয়ে। কুকুরে কুকুরে হল্লা বাঁধে কাটা মাছের বর্জিত অংশের ভাগীদারী নিয়ে, সরগরম হয়ে থাকে ভাঙতে থাকা বাজার। হকারের হাতে পলিথিনের থিন পরতের মধ্যে মজে আসে শশা, কাঁঠাল,আমলকি। দশটা-পাঁচটা কর্মীদের কাজের ফাঁকে অফিস থেকে বেড়িয়ে আসার মিনিটখানেক ফুরসৎ, কুন্ডলী হয়ে উয়ে যায় আকাশে আর কান-মাথা আর গলার দহন রেখে বুঝিয়ে নেয়, এটাই তোমার জায়গা। না পারলে পরের মাসের খুপরী ঘর আর শখের সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ির মাসিক কিস্তি, মায়ের ডায়ালিসিস হবে?

আয়রন করা শার্টের কাঁধটা টানটান করে, কালো চকচকে বুট আবার এগিয়ে যায় নিজের ডেস্কের পাদানীতে। বাজার আবার সজাগ হয়, বরফের মরা মাছের গায়ে রুপোলী ছটা জোগায় এলিডি বাল্ব, তাকে ঘিরে মাছিরা কানামাছি খেলে। গলি, তস্যগলি, ক্লান্ত পা ফিরতে থাকে ‘অ্যামবিশন’ লেখা লাল বড় পোস্টার টার নীচ দিয়ে। বাড়ির গলি ধরে জ্বলে ওঠে বিড়ির লাল আগুন। ক্লাস ঝড়ে যায়। জোকারের কান চাটা হাসির মেকাপ গলে গলে পরে যতো বাড়ির গেটের আলোতে, স্পষ্ট হয়ে ওঠে মাধবীলতার রং। মুসুরের ডালে সিটি পড়ে, এক, দুই, তিন…

চেতন না অবচেতন ঘুম

Share Your Perception

Back to top