পার্ক সার্কাসে রেল লাইনের কোলে পিঠে কাঁধে অজস্র বাড়ি আছে, সেসব ঘরে বসন্তে রং , আলো উপচে পড়ে । রোজার রাতে ঘরের চালে বা ফণিমনষার ঝোপে রঙিন টুনি জাপটে থাকে, ঠিক যেন দলছুট ছেলেটার মধ্যরাতে বাড়ি ফেরা! দক্ষিণ কলকাতায় তখন সাবেকি ফটকের সামনে এলোকেশী বাগানবিলাস। শিয়ালদা স্টেশনে ঢোকার আগে ডাকসাইটে শিমুল গাছ জোড়া পরণে লাল টুকটুকে পাটভাঙা শাড়িটি জড়িয়ে উড়ন্ত মোটর আরোহীর ‘দিল গার্ডেন গার্ডেন’ করে দেয় গোধূলি বিকেলে। সূর্যি ডোবা আঁধারে ওই রেল বস্তির ঘর গুলো যেন আস্ত এক একটা ক্যানভাস, আর প্রত্যেক বাড়ির কুলিঙ্গীর মতো জানলায় থাকে রঙিন কৌটোয় একটা চারাগাছ, সে যেন জানলা দিয়ে বেড়িয়ে পায়ের তলায় মাটি পেয়ে আকাশকে বস করবে, জন্মজন্মান্তরের জন্য, সেই ছোট্ট বাচ্চাটার মতো যে রবীন্দ্রসদনের গেটের উল্টো দিকে বসে স্ট্রবেরীর ঝুড়ি নিয়ে, আর কাঠফাটা রোদে খরিদ্দারীর মন্দা হলে অঙ্ক কষে খাতা জুড়ে। ওর কাছে অঙ্ক কষাটা কিন্তু ওর প্ল্যান-A।
Share Your Perception